অর্থনীতিতে মূলধন কাকে বলে?

অর্থনীতিতে মূলধন কাকে বলে?

  1. নগদ টাকা পয়সা
  2. জমি, জায়গা
  3. উৎপাদিত দ্রব্য বা অধিক উৎপাদনের কাজে লাগে
  4. ব্যয়ের টাকা পয়সা

Answer: উৎপাদিত দ্রব্য বা অধিক উৎপাদনের কাজে লাগে

Explanation: মূলধন (Capital)

অর্থনীতিতে মূলধন বলতে মানুষের শ্রমের দ্বারা উৎপাদিত সম্পদের সেই অংশকেই বােঝায় যা পুনরায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়। মি বয়ার্কের মতে , মূলধন হল উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান। ” অধ্যাপক জে এফ.সিল বলেন, ” মুলধন হল ভবিষ্যৎ সম্পদ উৎপাদনের জন্য অতীত শ্রমের সংগৃহীত উপাদন” । আধুনিক কালে মূলধনের আওতা ও পরিধি ব্যাপক হয়েছে। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মানুষের বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী আয়ের ঐ অংশ মূলধন বলে বিবেচিত হয় যা অধিক উৎপাদনের জন্য পুনরায় উৎপাদন কাজে নিযুক্ত হয়।

মূলধনের বৈশিষ্ট্য (Features of Capital)

১) উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান: মানুষের শ্রম ও সম্পদের যুক্ত প্রচেষ্টায় মূলধনের সৃষ্টি যা মানুষ অধিক উৎপাদন কাজে নিয়ােগ করে।

২) মূলধন উৎপাদনশীল: মূলধনের সাহায্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। মূলধন ছাড়া অধিক উৎপাদন অসম্ভব। অধিক উৎপাদনের জন্য অধিক মূলধনের প্রয়ােজন হয়। মূলধন নিয়ােগের উপর কোন দ্রব্যের উৎপাদনের পরিমাণ নির্ভর করে।

৩) নিষ্ক্রিয় উপাদান: উৎপাদন ক্ষেত্রে মূলধন নিষ্ক্রিয় উপাদন হিসেবে স্বীকৃত। শ্রমিকের সাহায্য ছাড়া মূলধন কোন কিছু উৎপাদন করতে পারে না। যেমন – যন্ত্রপাতি নিজে কিছু করতে পারে না। যদি এর সাথে শ্রমিক যুক্ত হয় তবেই উৎপাদন সম্ভব।

৪) গতিশীল: উৎপাদনের উপাদানগুলাের মধ্যে মূলধন সবচেয়ে গতিশীল। কারণ মূলধন বিভিন্ন খাতে ব্যবহারযােগ্য এবং তা দেশের অভ্যন্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহজে হস্তান্তরযােগ্য।

৫) মূলধন সমজাতীয় নয়: সব মূলধন সমগুনসম্পন্ন নয়। মূলধন হল স্বতন্ত্র ক্রিয়াসম্পন্ন বিবিধ বস্তুর একটি জটিল সমষ্টি। এর প্রতিটি এককের উৎপাদনশীলতা তথা গুনগত মানের পার্থক্য রয়েছে।

৬) মূলধন অস্থায়ী: মূলধন ক্ষণস্থায়ী উপাদান। সময়ের সাথে সাথে মূলধনের পরিমাণে পরিবর্তন আসতে পারে। সময়ের ব্যবধানে বিনিয়ােগ বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে মূলধনের পরিমাণ পরিবর্তন হয়।

৭) মূলধনের উৎপাদন ধরন: মূলধন প্রাকৃতিক সম্পদ নয়। মানুষ তার শ্রমের স্বারা প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মূলধন সৃষ্টি করে বলে তার জন্য খরচ করতে হয়। তাই মূলধনের উৎপাদন খরচ আছে।

৮)সঞ্চয় থেকে মূলধনের সৃষ্টি: সঞ্চয় মূলত করা হয় মূলধন গঠনের জন্য। মূলধন গঠন করতে হলে বর্তমানে আয়ের একটা অংশ ভােগের কাজে না লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হয়। অর্থাৎ সঞ্চয় যখন বিনিয়ােগ করা হয় তখন মূলধন গঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *